বিশেষ সংবাদদাতা:
টানা ৪২ দিন বন্ধ ছিল মদের দোকানগুলি। কন্টেইনমেন্ট জোন ছাড়া রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোনগুলিতে শর্ত মেনে সোমবার নির্দিষ্ট দোকানগুলি খুলেছে পশ্চিমবাংলায়। মঙ্গলবার ছিল দ্বিতীয় দিন। এদিনও মদের দোকানগুলিতে বেশ ভিড় ছিল। তবে প্রথম দিনের নিয়মভঙ্গের ঘটনার পর পুলিশ ও প্রশাসন ছিল সতর্ক। বেশির ভাগ জায়গাতেই ক্রেতাদের উৎশৃঙ্খল হতে দেয়নি। কিছু জায়গায় অবশ্য ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব মানেনি বলে অভিযোগও উঠেছে। এ ছাড়া টিটাগড়ের একটি মদের দোকান অনুমতি ছাড়াই খুলে দেওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে হানা দেয়। দোকানটিও বন্ধ করে দেয়।
মদের দোকান খোলার প্রথম দিনের একটি হিসেব পাওয়া গিয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে রাজ্যে ওইদিন মোট মদ বিক্রি হয়েছে ৪০ কোটি টাকার। উল্লেখ্য, লকডাউনে রাজ্য সরকারগুলির আয় প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মদ বিক্রি থেকে রাজ্যগুলির রাজস্ব আয় অনেক বেশি হয়। তাই মদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়ার কথা অনেকদিন ধরেই চিন্তাভাবনা করছিল তারা। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ না থাকায় মদের দোকান খোলার অনুমতি দিতে পারেনি রাজ্যগুলি। তৃতীয় দফার লকডাউনের সময় শুরুর নিয়মাবলিতে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি মেলায় রাজ্যগুলিও মদের দোকান খোলা যেতে পারে বলে জানিয়ে দেয়।
মঙ্গলবার অফ শপ, অন শপ, হোটেল মালিকদের সংগঠনের তরফে সহকারি সচিব সুস্মিতা মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘সোমবার সারা রাজ্যে ৪০ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। রাজ্যের সব জোনেই ৭০ শতাংশ মদের দোকান খুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩০ শতাংশ দোকান কন্টেইনমেন্ট জোনে থাকায় খোলার অনুমতি পায়নি।’ ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত কর চাপানোর পরেও প্রথম দিন মদের এই বিক্রি দেখে অনেকের ধারণা, মদের বিক্রি আরও বাড়বে। তবে মঙ্গলবার থেকে দোকান খোলার ব্যাপারে সময়ের কিছু হেরফের করা হয়েছে রাজ্যে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় দোকান খোলার অনুমতি মেলে। বন্ধ হয় সন্ধ্যা ৭টায়। আপাতত এই সময়সীমাই মদের কেনাবেচার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট থাকবে।